কুমিরের সম্পর্কে আজব তথ্য-Know About Crocodile



কুমির অন্যান্য প্রানীদের মধ্যে শক্তিশালী এবং এরা সরীসৃপ প্রজাতির। কুমির দেখে অনেকে আজব প্রানী হিসেবে ধরে থাকে। তবে এদের অনেকে সরীসৃপ এর পাশাপাশি উভচর প্রানীও মনে করে থাকে। কেননা এরা যেমন পানিতে থাকে একই সাথে এরা ডাঙ্গায়ও বাস করে। সরীসৃপ বলার কারন এরা অন্যান্য সরীসৃপদের মত বুকে ভর দিয়ে চলে। উভচর প্রানীরা জলে এবং স্থলে উভয় স্থানেই বাস করে। এই কারনে এদের উভচর প্রানী বলা হয়। এই উভচর প্রানীদের কনসেপ্ট এর উপর ভিত্তি করে বর্তমানে অনেক মিলিটারি ইকুইপমেন্টও তৈরি হয়েছে। এসব ইকুইপমেন্ট বা যান কে হোভারক্রাফট বলা হয়ে থাকে। এরা যেমন পানিতে ভাসতে পারে একই সাথে বিমানের মত উড়তেও পারে।

কুমির এবং আমাদের দেশের দেশি টিকটিকি গুলোর মধ্যে অনেক মিল আছে। এদের কমবেশি সকল মহাদেশেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে একমাত্র ইউরোপ মহাদেশে এদের দেখা মিলে না। কুমির৩৫-৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এরা ৭ মিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ লম্বা হয় এবং ওজন ম্যাক্সিমাম ১২০০ কেজি পর্যন্ত হয়। আপনাদের কি মনে হয় কুমির জলে বেশি শক্তিশালী নাকি স্থলে? মতামত কমেন্ট বক্সে জানান। কুমির সম্পর্কে বিচিত্র তথ্য নিচে তুলে ধরা হলঃ

মাংসাশী প্রানীঃ

এরা অন্য প্রানীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহন করায় এদের মাংশাসী প্রানী বলা হয়। এরা মাংস ছাড়া কোন সবজি বা তৃনলতা জাতীয় উদ্ভিদ খেয়ে থাকে না। স্বাভাবিক ভাবে কোন কুমির ৩৫-৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, জেনে অবাক হবেন যে এরা এদের জীবনে ৪০০০ দাঁত উঠে থাকে। তবে এদের চোয়ালে ৬০-১১০ টি দাঁত থাকে। কিছু কিছু দাঁত আছে যা সর্বদাই ফিক্সড থাকে এবং অলওয়েজ গুরুত্বপূর্ন কোন না কোন কাজ করে থাকে। ঐ সব দাঁত যে কোন ক্ষেত্রে স্ট্যাণ্ডবাই মোডে থাকে। তবে ছোট ছোট দাঁত গুলো নির্দিষ্ট সময় পর পড়ে যায়। এভাবে এদের সম্পূর্ন জীবনকালে প্রায় ৫০ বারের মত দাঁত পড়ে এবং পুনারায় উঠে।

কুমিরের আজব তথ্যঃ

এদের চোয়াল প্রতি স্কয়ার ইঞ্চিতে ৫০০০ পাউন্ড বা ২২৬৮ কেজি চাপ প্রয়োগ করে থাকে। এই কারনে যে কোন কিছু কুমিরের চোয়ালের মধ্যে গেলে সহজে বের হয় না। আর যদি কখনও বের হয়ও তা অবশ্যই দু টুকরো হয়ে বের হয়। হাঙ্গরের দাঁতের কামড়ের চেয়ে কুমিরের দাঁতের কামড় বেশী শক্তি শালী। এদের লেজও প্রচন্ড শক্তি শালি হওয়াই লেজ দিয়েও আঘাত করে থাকে। কুমির এবং অ্যালিগেটর এর মধ্যে সামান্য পার্থক্য আছে।

মাউথ গ্যাপিংঃ

কুমির কোন ভাবেই ঘামে না। এরা নিজেদের শরীর শীতল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকেল। সত্যিকার অর্থে কুমির দেখলে অথবা কুমিরের ছবি দেখলে প্রায় ক্ষেত্রেই দেখবেন এরা মুখ হা করে থাকে। এভাবে থাকার কারন হল নিজেদের শরীর শিতল রাখার জন্য মুখ হা করে রাখার পদ্ধতিকে মাউথ গ্যাপিং বলে। দেখে মনেই হতে পারে হয়ত রাগ দেখাচ্ছে। কিন্তু এরা এভাবে মুখ খুলেই ঘুমার এবং শরীরের হিট বের করে দেয়।

পরিশেষে, কুমিরের সম্পর্কে আসলেই বিচিত্র কিছু তথ্য জানা গেল। এমন কুমিরের আজব তথ্য অনেকেরই অজানা। 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!