জিরাফ সম্পর্কে অজানা তথ্য-Know About the giraffe


 

প্রানীজগতে সকল প্রানীদের মধ্যে কিছু কমন বৈশিষ্ট্য আছে যার উপর ভিত্তি করে প্রানীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করার কারনে একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রানীগুলো একত্রে পাওয়া যায়। জিরাফ, জেব্রা, হরিন সহ আরও অন্যান্য বন্য প্রানীরা বনের নির্দিষ্ট  অঞ্চলজুড়ে থাকে। তবে প্রকৃতিতে প্রতিযোগিতা বা টিকে থাকার লড়াই বিদ্যমান। এই কারনেই প্রত্যেকে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভশীলতার কারনে যে খাদ্য শৃংখল গড়ে উঠেছে সেখানে বিভিন্ন শ্রেনির খাদক রয়েছে। উচ্চ শ্রেনির খাদক নিম্ন শ্রেনির খাদককে খেয়ে থাকে। এই কারনে যেখানে সেখানে প্রতিযোগিতা বিদ্যমান।

অনেকে মনে প্রশ্ন হতে জিরাফ এত লম্বা কেন? প্রকৃত অর্থে জিরাফের পা লম্বা হওয়ার কারনে এবং গলা দীর্ঘ আকার হওয়ার কারনে এরা এত বেশি লম্বা। তবে এই লম্বা হওয়ার অনেক সুবিধাও আছে।  নিচের এদের কিছু সুবিধাও তুলে ধরা হলঃ

  • লম্বা হওয়ার কারনে এরা দূর থেকেই শিকারীকে দেখতে পারে এবং সময় থাকতে সতর্ক হতে পারে। এভাবে তারা শিকারের হাত থেকে বেঁচে যায়।
  • লম্বা হওয়ার কারনে এরা সহজেই গাছের পাতা বা উচু স্থানে থাকা খাবার খেয়ে থাকে। কোন রকম অসুবিধা হয় না।
  • কিন্তু লম্বা হওয়ার কারনে এরা অল্প জায়গার মধ্যে থাকতে একটু কষ্টকর হয়।
  • নিচু জায়াগায় কোন কিছু খেতে সমস্যা হয়।
  • পানি খেতে হলে তার মুখ পানি পর্যন্ত না পৌছাইলে দুই জোড়া পা দুই দিকে ছড়িয়ে দেয় এবং নিজের উচ্চতা কমিয়ে পানি খাওয়ার চেষ্টা করে। মানুষ যেমন ভাবে দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে দেয়।

জিরাফ এর জীবনকালঃ

অনেক বড় এবং লম্বা প্রানী হওয়ার কারনে অনেকের মনে হতে পারে জিরাফ বেশি দিন পর্যন্ত বাঁচে। তবে বড় প্রানী হলেই যে অনেকদিন বাঁচতে হবে তা জরুরি নয়। জিরাফের জীবনকাল ২৫ বছর পর্যন্ত হয়। বন্য পরিবেশে এদের এর থেকে বেঁচে থাকতে দেখা যায় নি। জিরাফের চেয়ে অনেক ছোট প্রানী  কচ্ছপ ৪০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। কচ্ছপ ৪০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে কিন্তু কতগুলো প্রজাতি বেঁচে থাকে তা কি জানা আছে ?



বাচ্চা জন্মঃ

যে কোন প্রানী যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন তা অনেকটা নিচু জায়গা হতে বাচ্চা জন্ম দেয়। যাতে করে নবজাতক বাচ্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। এখন জিরাফের উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ার কারনে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় এরা বসতে কিংবা শুইয়ে পড়তে পারে না। এই কারনে এদের দাড়িয়ে থেকে বাচ্চা জন্ম দিতে হয়। কিন্তু এদের শরীর তখন মাটি থেকে ১.৫ মিটার উচ্চতায় থাকে। এই উচ্চতা আমাদের কাছে কম মনে হলেও নবজাতকের ক্ষেত্রে অনেক বেশিই। তবে জিরাফ এর বাচ্চা এমন শক্তিশালী হয় যে এই উচ্চতা থেকে পড়ে তার কিছুই হয় না।

পরিশেষে, উপরের ঘটনা গুলো সবাই নাও জানতে পারে এবং একই সাথে এদের সম্পর্কে অনেকের নিকট ভ্রান্ত ধারনা থাকতে পারে। এই ভ্রান্ত ধারনা দূর করার জন্য এবং আমাদের জানার পরিধি বাড়ানোর জন্য আজকের এই আর্টিকেল।


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!